মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

বিনোদন



ডেসিস ডেস্ক

প্রকাশ: ২০২২-০৯-০৬ ০৮:০৬:২৮


রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন দুই প্রধানমন্ত্রী

ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এছাড়া রূপসা রেলসেতুও একই অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির হায়দারাবাদ হাউজে দু’দেশের সরকার প্রধানের যৌথ বৈঠকের দিন ওই প্রকল্প দুটি উদ্বেধন করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক টুইট বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দিনটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন। তবে, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম বলেছেন ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে রামপালের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন, যে, রামপালের প্রথম ইউনিটকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ করা হয়েছে, কিন্তু উদ্বোধনের ঘোষণা আসেনি। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) এর আওতায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা।

২০১৭ সালে ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেও মধ্যে আধাআধি অংশীদারিত্বে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতীয় একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) কেন্দ্রটির মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে ২০১০ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে। এর দুই বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় নির্মাণকাজ। শুরু থেকেই পরিবেশবাদীরা ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন।

১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয়ের দেড়শ কোটি ডলারের বড় অংশের যোগান দিচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পটির নাম ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি হস্তান্তর, খুলনা-দর্শনা রেলপথ এবং পার্বতীপুর-দর্শনা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে কুমিয়ারা নদীর পানি বন্টন, বাংলাদেশ রেলের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মহাকাশ গবেষণাসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি না হলেও দুই সরকার প্রধান আশা প্রকাশ করেছেন অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।


ডেসিস/জকে/ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Sidebar Google Ad Code