প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১৭
বিসিএসসহ দেশের গুরুত্বপূর্ন ৩০ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন আইনে এই মামলা করা হয়।
বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম। ওই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এরা হচ্ছে, পিএসসি’র উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক ( ডেসপাস) সাজেদুল ইসলাম, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল,
অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগেস্খশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেশনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।
জানাগেছে ‘বিসিএস প্রিলিলিখিতসহ গুরুত্বপর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী-পরিচালক এসএম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো সংঘবদ্ধ এই চক্রটি।
এপ্রসঙ্গে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের সংবাদ দেখেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
ডেসিস/জেকে/০৯ জুলাই ২০২৪ইং