সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

সিলেট



নিজস্ব প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০২৩-০৪-১০ ০৭:৫৯:১৫


২৭ এপ্রিল বিশ্বনাথের দশপাইকা মাদরাসার নির্বাচন : উত্তেজনা

বিশ্বনাথের দশপাইকা আলিম মাদরাসার ছবি

আগামি ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দশপাইকা আনোয়ারুল উলূম আলিম মাদরাসার গভর্নিংবডির নতুন কমিটি।

সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখার এক স্মারকমূলে গত ২৭ মার্চ তপশিল ঘোষণা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ বজলুর রশিদ। এরপর ২ থেকে ৫এপ্রিল মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ এবং ৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।

সোমবার ১০ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহর করা হয়। ওইদিন দাখিল কেটাগরিতে বশির আলী নামের একজন অভিভাবক সদস্য তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। ফলে দাতা সদস্য, অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে অতিরিক্ত কোন প্রার্থী না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলকারীরাই বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

কিন্তু সকল প্রস্তূতি সম্পন্ন করা হলেও তপশিল নির্বাচনের বাতিল চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক অভিভাবকেরা।

তারা তপশিল ঘোষণার ৩দিন পর গত ৩০মার্চ এই অভিযোগ দেন। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি ও প্রিজাইডিং অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ভেতরে ভেতরে দু’পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি শেখ শওকত আলী ইমন ও অধ্যক্ষ মাওলানা মখলিছুর রহমানের অভিযোগ, নির্বাচন বানচাল করতেই কবির আহমদ, বকুল খান, ইসমাইল খান, গয়াছ আলী, আয়না মিয়া মিথ্যা এই অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, জেলাপ্রশাসকের নির্দেশে সরকারিভাবে তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই বিষয়টি নিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। করে সবাইকে জানানোও হয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থগিত চেয়ে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়ে আবার তাতে লিখেছেন তাদেরকে না জানিয়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া কবির আহমদ ও ইসমাইল খান ওই প্রতিষ্ঠানের কোন অভিভাবকও নয় বলে দাবি করেছেন তারা।

অন্যদিকে অভিযোগকারী কবির আহমদ ও বকুল খানের দাবি, অধ্যক্ষ নিজেই একটি পক্ষ হয়ে গেছেন। তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের কমিটিতে ঠাই দিতে তিনি এলাকার কাউকে না জানিয়ে এবং সমন্বয় না করে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নিয়েছেন। যেকারণে তারা উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তবে, তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হলে যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত করার হুশিয়ারি দিয়েছেন কবির আহমদ।

জানাগেছে, সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখার এক স্মারকমূলে গত ২৭ মার্চ তপশিল ঘোষণা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ বজলুর রশিদ।

তপশিল ঘোষণার পর গত ২ থেকে ৫এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদান এবং ৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।

এতে দাতা সদস্য পদে হাজী আব্দুল মনাফ, অভিভাবক সদস্য পদে (আলিম কেটাগরিতে) আব্দুর রশিদ, (দাখিল) মো. আকবর আলী, সিরাজ আহমদ এবং বশির আলী, ইবতেদায়ী কেটাগরিতে সাদ উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য জয়তুন বিবি, শিক্ষক প্রতিনিধি (আলিম) ইব্রাহিম খলিল, (দাখিল) শফিকুল আলম মজুমদার, (ইবতেদায়ী) জমির আহমদ খান মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আর গতকাল শেষ দিনে বশির আলী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় এবং কোন পদেই আর প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন দাতা সদস্য পদে হাজী আব্দুল মনাফ, অভিভাবক সদস্য পদে (আলিম কেটাগরি) আব্দুর রশিদ, (দাখিল) মো. আকবর আলী, সিরাজ আহমদ এবং, (ইবতেদায়ী) সাদ উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য জয়তুন বিবি, শিক্ষক প্রতিনিধি (আলিম) ইব্রাহিম খলিল, (দাখিল) শফিকুল আলম মজুমদার ও (ইবতেদায়ী) জমির আহমদ খান।

এপ্রসঙ্গে কথা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, বাছাই ও প্রত্যাহার পর্ব শেষ। আগামি ২৭ এপ্রিল ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তবে, এ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব এই বিষয়টি দেখছেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য সমন্বয় রেখে আগানোর জন্য মাদারাসা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুুনু মিয়া অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, উভয় পক্ষের সমন্বয়ে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতে প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে দ্বন্ধ নিরসনের ব্যবস্থা করবেন।


ডেসিস/জেকে/ ১০এপিল ২০২৩ইং

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Sidebar Google Ad Code