শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন

সমগ্র দেশ



ডেসিস ডেস্ক

প্রকাশ: ২০২২-০৫-২১ ০৮:৩৯:৪৪


সঙ্গে নেওয়া পুলিশের হাতেই গ্রেপ্তা হলেন ভুয়া বিচারপতি !

অবশেষে ধরা খেলেন ৯৯৯ ফোনকলে পুলিশ প্রটোকল চাওয়া চাঁদপুরের সেই ভুয়া বিচারপতি বিপ্লব প্রধানীয়া। শনিবার (২১ মে) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (২০ মে) তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া প্রটোকলধারী পুলিশই তাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর নলুয়া গ্রাম থেকে আটক করে।

ওইদিন ঢাকা থেকে মতলবে যাবার পথে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে নিজেকে বিচারপতি পরিচয় দিয়ে পুলিশ প্রটোকল চান তিনি। পরে জাতীয় সেবা কেন্দ্র থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুম কুমিল্লা জোনকে অবহিত করা হয়। কুমিল্লা জোন চাঁদপুর কন্ট্রোলকে অবহিত করে। পরে পুলিশ তাকে প্রটোকল দিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর নলুয়া গ্রামে নিয়ে পৌঁছে দেয়।

এরপর সেখান থেকে ওইদিনই তাকে আটক করা হয়। বিপ্লবের উদ্যেশ্য ছিল নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আরও প্রতারণার ক্ষেত্র তৈরি করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ওইদিন গাড়ি নিয়ে ভিআইপি প্রটোকলে এলাকায় যান, যেন স্থানীয়রা বিচারপতি ভেবে তার কাছে আসে বিভিন্ন তদবির নিয়ে।

পুলিশ জনায়, এলাকায় যদি তিনি নিজেকে বিচারপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তাহলে স্থানীয় লোকজন তার কাছে সরকারি-বেসরকারি অফিসের বিভিন্ন তদবির নিয়ে আসবে এবং তিনি প্রতারণা করার সুযোগ পাবেন। ধরা পরার পর পুলিশকে বিপ্লব জানান, বিগত ৫বছর ধরে রেন্ট-এ কার থেকে দামি গাড়ি ভাড়া নিয়ে বড় বড় শহরে বিচারপতি পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন বিপ্লব। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নিজ এলাকায় প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

এলাকার মানুষের কাছে বিচারপতি হলে নানা তদবির আসবে এবং এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেবেন। ভুয়া বিচারপতি ওই বিপ্লব ২ মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এবার ভুয়া বিচারপতি হিসেবে ধরা পড়ায় আরও একটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২১ মে) দুপরে তাকে চাঁদপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

২০১৩ সালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের কলেজ গেটে তার একটি ওয়ার্কসপ ছিল। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ঋণদান সংস্থা ও সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান তিনি। অর্থ জালিয়াতির ২ মামলায় তার সাজা হয় এবং অপর একটি মামলায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বর্তমানে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকায় তার একটি ওয়ার্কসপ ব্যবসা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার বাদী মতলব দক্ষিণ থানার এসআই রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে তিনি ভুয়া বিচারপতি বিপ্লবকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যান। তখন বিপ্লবের আচরণে তার সন্দেহ সৃষ্টি হয়।

ডিএসবির মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশকে অবহিত না করা, বিপ্লবের ব্যবহৃত গাড়িটি সরকারি না হওয়া, গাড়িতে পতাকা না থাকা- এসব কারণে তিনি বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ করেন। এতে বিপ্লব আটকে যান। পরে রুহুল আমিন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তার ব্যবহৃত টয়োটা করলা গাড়িটিও জব্দ করেছে পুলিশ। তথ্যসূত্র : সমকাল


ডেসিস/জকে/ ২১ মে ২০২২ইং

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Sidebar Google Ad Code