রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র



নিজস্ব প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০২৩-০৯-২১ ১০:২৯:০৮


স্বপ্ন পুরণের আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় নিভে গেল বাংলাদেশি কিশোরের প্রাণ

ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

স্বপ্ন পুরণের আগেই উন্নত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছার ৩মাস ১০দিনের মাথায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আল আমিন (১৯) নামের এক কিশোর প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রায় ৯দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেখানকার স্থানীয় সময় সকাল ৬টারদিকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় তার।

নিহত  আল আমিন সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। ২ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন আল আমিন।

ছেলের এমন মৃত্যু সংবাদে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন আল-আমিনের বাবা-মা। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বার বার জ্ঞান হারানো মা আফরোজা বেগমকে (৫২) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নিহত আল আমিন তার বড়ভাই সুমন আহমদের (২৮) সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ-ওয়ষ্টে অঞ্চলের ক্রিস্টিয়ানা শহরে বসবাস করতেন এবং সেখানকার একটি ডিপার্টম্যান্টাল স্টোরে কাজ করতেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, স্বপ্ন পুরণের আশায় বড়ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে চলতি ২০২৩ সালের জুন মাসে দক্ষিণ আফিকা পাড়ি জমান কিশোর আল আমিন। এরপর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ-ওয়ষ্টে অঞ্চলের ক্রিস্টিয়ানা শহরের একটি ডিপার্টম্যান্টাল স্টোরে কাজ নেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সেখানকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টারদিকে ওই ডিপার্টম্যান্টাল স্টোরে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে প্রথমে তাকে মারধর করে। বেধড়ক পেটানোর একপর্যায়ে তার বুকে গুলি করে দেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সেখানকার ক্লাসডর্পের সেবক্যাঙ্গ নামক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৯দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে আদরের সন্তানের এমন মর্মান্তিক সংবাদে শয্যাসায়ী হয়ে পড়েছেন নিহত আল আমিনের বাবা মোবারক আলী (৬০)। আর বাক রুদ্ধে হয়ে পড়েছেন আল-আমিনের মা আফরোজা বেগমও (৫২)। ছেলে শোকে বারবার জ্ঞাণ হারাচ্ছিলেন তিনি। এমন অবস্থায় বুধবার রাতে পৌর শহরের কলেজ রেডের চিকিৎিক ডা. মাহমুদুল আমিনের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাবা-মা ও স্বজনরা ছাড়াও আল-আমিনের মৃত্যুর সংবাদে উপজেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এব্যাপারে নিহত আল আমিনের মামা সাংবাদিক কামাল মুন্না জানান, মাত্র ৩ মাস ১০ দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন তার ভাগ্নে আল আমিন। আর মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওইদিন তার অপর ভাগ্নে সুমন আহমদ ও আল আমিনের এক সহকর্মী মুঠোফোনে তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

এছাড়া আগামি ২/৩দিনের মধ্যে তার মরদেহ দেশে আনা হবে বলেও জানিয়েছেন কামাল মুন্না।

বিশ্বনাথ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশি কোন সহযোগীতা প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা করা হবে।


ডেসিস/জেকে/ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Sidebar Google Ad Code